গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে একজন ও শুক্রবার রাতে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছেন। এটি জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলায় নতুন করে ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় খুমেকে ২৪ ঘণ্টায় ১১ মৃত্যু
তিনি জানান, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১০০ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ১১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগী আসছেন। যারা আসছেন তাদের প্রত্যেকেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক। আমরা আগে থেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে বার বার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই-একদিনের মধ্যেই উপজেলা পর্যায় থেকে নার্সসহ কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিস্থিতি যে অবস্থার দিকে যাচ্ছে তাতে অচিরেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে শুধু মাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রুপান্তর করা লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
এদিকে, সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন মধ্য রাত থেকে কুষ্টিয়া শহরের পৌর এলাকা সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে সেই কঠোর বিধি নিষেধ কার্যত ব্যথতায় রুপ নেয়। শুক্রবার ওই বিধি নিষেধের মেয়াদ শেষ হলে শনিবার থেকে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত নতুন করে আরও সাত দিনের বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, ঈদের পর থেকেই কুষ্টিয়া জেলায় করোনা সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৭৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৬৯ জন এবং মারা গেছেন ১৪৮ জন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু